আত্মারামের কৌটো এবং শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা |||
-----------
প্রত্যেক বছর শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার বিশেষ দিনটিতেই বেলুড় মঠে শ্রীশ্রীঠাকুরের আত্মারামের কৌটোর বিশেষ পূজা সমাপিত হয়ে থাকে এবং ইহাকে জনসমক্ষে আনা হয়। এই আত্মারামের কৌটোতেই শ্রীশ্রীঠাকুরের পবিত্র অস্থি সুরক্ষিত রয়েছে। স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজজীর স্মৃতিচারণা থেকে একটি খুব সুন্দর সত্য ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়--------
আত্মারামের কৌটার ( ঠাকুরের ভস্মাবশেষ ) প্রতি স্বামীজীর অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল৷ তবুও একদিন যথারীতি আত্মারামকে প্রণাম করে ঠাকুরঘর হতে বের হয়ে আসার সময়ে তাঁর যেন মনে খটকা হলো। সত্যই কি এই আত্মারামে ঠাকুরের আবির্ভাব রয়েছে? আচ্ছা, দেখি একবার প্রার্থনা করে৷ এই ভেবে তিনি মনে মনে প্রার্থনা করলেন--- " ঠাকুর, তুমি যদি সত্য সত্যই এই আত্মারামের মধ্যে থাক, তবে তিনদিনের মধ্যে গোয়ালিয়রের মহারাজকে মঠে আকর্ষণ করে আনো৷ "
মহারাজা তখন কলকাতায় থাকলেও স্বামীজী জানতেন যে তাঁর তখন বেলুড় মঠে আসা একান্তই অসম্ভব৷ অবশ্য ঐ গোপন প্রার্থনা তাঁর প্রাণেই ছিল, অন্য কারও কাছে তিনি তা প্রকাশ করেননি৷ এমনকি কিছুক্ষণ পরে তিনি নিজেও সে কথা বিস্মৃত হয়ে গেলেন৷ পরদিন কোনো কাজ উপলক্ষে স্বামীজীকে কলকাতা যেতে হলো৷ অপরাহ্নে মঠে ফিরে তিনি শুনলেন যে, গোয়ালিয়রের মহারাজা মঠের কাছে জি.টি. রোড দিয়ে যেতে যেতে গাড়ি থামিয়ে, স্বামীজী মঠে আছেন কিনা, সে খবর নিতে নিজের ভাইকে পাঠিয়েছেন৷ কিন্তু স্বামীজী মঠে অনুপস্থিত থাকায় দুঃখিত চিত্তে ফিরে গিয়েছেন৷ এ কথা শোনামাত্রই স্বামীজীর পূর্বদিনের সঙ্কল্পের কথা মনে পড়লো এবং তিনি তাড়াতাড়ি ঠাকুরঘরে গিয়ে আত্মারামকে মাথায় তুলে বার বার প্রণাম করে বলতে লাগলেন, 'তুমি সত্য', 'তুমি সত্য', 'তুমি সত্য'৷
স্বামী প্রেমানন্দ সেসময়ে ঠাকুরঘরে গিয়েছিলেন। তিনি স্বামীজীকে ঐ প্রকার করতে দেখে কিছুই বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে রইলেন৷ পরে স্বামীজীর মুখে সকল কথা শুনে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হলেন ৷ স্বামীজী সেদিন হতে সকলকে অতি সাবধানে ঐ কৌটার পূজা করার কথা বললেন। স্বামীজীর দ্বারা বেলুর মঠে শ্রী শ্রী ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিনে স্বামীজী আত্মারামের কৌটা নিয়ে এসে মঠে রাখেন এবং স্বহস্তে পায়েস রান্না করে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করেন। পরে ঠাকুরকে বলেনঃ "বল, তুমি এখানে থাকবে।"
স্বামীজী শুনলেন, ঠাকুর বলছেনঃ 'থাকব'। স্বামীজী আবার বললেনঃ "বল, জীবকল্যাণে তুমি এখানে থাকবে।"
ঠাকুর আবারও বললেনঃ 'থাকব'।
তারপর স্বামীজীর অশ্রুজলে মাটি সিক্ত হয়ে যায় !!! জয় ঠাকুর; জয় মা; জয় স্বামীজি
-----------
প্রত্যেক বছর শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার বিশেষ দিনটিতেই বেলুড় মঠে শ্রীশ্রীঠাকুরের আত্মারামের কৌটোর বিশেষ পূজা সমাপিত হয়ে থাকে এবং ইহাকে জনসমক্ষে আনা হয়। এই আত্মারামের কৌটোতেই শ্রীশ্রীঠাকুরের পবিত্র অস্থি সুরক্ষিত রয়েছে। স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজজীর স্মৃতিচারণা থেকে একটি খুব সুন্দর সত্য ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়--------
আত্মারামের কৌটার ( ঠাকুরের ভস্মাবশেষ ) প্রতি স্বামীজীর অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল৷ তবুও একদিন যথারীতি আত্মারামকে প্রণাম করে ঠাকুরঘর হতে বের হয়ে আসার সময়ে তাঁর যেন মনে খটকা হলো। সত্যই কি এই আত্মারামে ঠাকুরের আবির্ভাব রয়েছে? আচ্ছা, দেখি একবার প্রার্থনা করে৷ এই ভেবে তিনি মনে মনে প্রার্থনা করলেন--- " ঠাকুর, তুমি যদি সত্য সত্যই এই আত্মারামের মধ্যে থাক, তবে তিনদিনের মধ্যে গোয়ালিয়রের মহারাজকে মঠে আকর্ষণ করে আনো৷ "
মহারাজা তখন কলকাতায় থাকলেও স্বামীজী জানতেন যে তাঁর তখন বেলুড় মঠে আসা একান্তই অসম্ভব৷ অবশ্য ঐ গোপন প্রার্থনা তাঁর প্রাণেই ছিল, অন্য কারও কাছে তিনি তা প্রকাশ করেননি৷ এমনকি কিছুক্ষণ পরে তিনি নিজেও সে কথা বিস্মৃত হয়ে গেলেন৷ পরদিন কোনো কাজ উপলক্ষে স্বামীজীকে কলকাতা যেতে হলো৷ অপরাহ্নে মঠে ফিরে তিনি শুনলেন যে, গোয়ালিয়রের মহারাজা মঠের কাছে জি.টি. রোড দিয়ে যেতে যেতে গাড়ি থামিয়ে, স্বামীজী মঠে আছেন কিনা, সে খবর নিতে নিজের ভাইকে পাঠিয়েছেন৷ কিন্তু স্বামীজী মঠে অনুপস্থিত থাকায় দুঃখিত চিত্তে ফিরে গিয়েছেন৷ এ কথা শোনামাত্রই স্বামীজীর পূর্বদিনের সঙ্কল্পের কথা মনে পড়লো এবং তিনি তাড়াতাড়ি ঠাকুরঘরে গিয়ে আত্মারামকে মাথায় তুলে বার বার প্রণাম করে বলতে লাগলেন, 'তুমি সত্য', 'তুমি সত্য', 'তুমি সত্য'৷
স্বামী প্রেমানন্দ সেসময়ে ঠাকুরঘরে গিয়েছিলেন। তিনি স্বামীজীকে ঐ প্রকার করতে দেখে কিছুই বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে রইলেন৷ পরে স্বামীজীর মুখে সকল কথা শুনে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হলেন ৷ স্বামীজী সেদিন হতে সকলকে অতি সাবধানে ঐ কৌটার পূজা করার কথা বললেন। স্বামীজীর দ্বারা বেলুর মঠে শ্রী শ্রী ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিনে স্বামীজী আত্মারামের কৌটা নিয়ে এসে মঠে রাখেন এবং স্বহস্তে পায়েস রান্না করে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করেন। পরে ঠাকুরকে বলেনঃ "বল, তুমি এখানে থাকবে।"
স্বামীজী শুনলেন, ঠাকুর বলছেনঃ 'থাকব'। স্বামীজী আবার বললেনঃ "বল, জীবকল্যাণে তুমি এখানে থাকবে।"
ঠাকুর আবারও বললেনঃ 'থাকব'।
তারপর স্বামীজীর অশ্রুজলে মাটি সিক্ত হয়ে যায় !!! জয় ঠাকুর; জয় মা; জয় স্বামীজি
No comments:
Post a Comment