ভবতারিনীর দু'বোন কৃপাময়ী ও ব্রহ্মময়ী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
লোককথা অনুযায়ী একই কোষ্ঠীপাথর থেকে তৈরি হয়েছিল ভবতারিণী, কৃপাময়ী আর ব্রহ্মময়ীর বিগ্রহ। মূর্তির কারিগরও নাকি সেই একই মানুষ। কাটোয়ার দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর। সর্বপ্রথম তৈরি হয় জয়মিত্তিরের কৃপাময়ীর মূর্তি। এরপর তৈরি হয় ব্রহ্মময়ী ও মা ভবতারিণীর বিগ্রহ। প্রসঙ্গত এখানে বড় ছোটর হিসাব করা হয় বিগ্রহের উচ্চতার বিচারে। সেই অনুযায়ী ভবতারিণীর মূর্তি সবথেকে বড়। তাই সে বড় বোন। মেজ হলেন মা কৃপাময়ী ও ছোট বোন ব্রহ্মময়ী। এই তিন দেবী মূর্তির নামকরণও করেন একই মানুষ। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব।
ভবতারিণী, কৃপাময়ী আর ব্রহ্মময়ী এঁরা থাকেন বরাহনগরে। তিন বোনের বাড়িও একদম পাশাপাশি। ভবতারিণী আর কৃপাময়ীর বাস নদীর পারে। আর ব্রহ্মময়ী থাকেন কৃপাময়ীর থেকে ঠিক দশ মিনিট পায়ে হাঁটাপথ দূরে। ভবতারিণী হলেন দক্ষিণেশ্বরের কালী, কৃপাময়ী হলেন বরাহনগরের জয় নারায়ন মিত্তিরের মন্দিরের কালী এবং ব্রহ্মময়ী হলেন কাশীপুরের প্রামানিক ঘাট রোডের কালী।
জয় মিত্তিরের কৃপাময়ী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৪৮ সালে বরাহনগরের জমিদার জয়নারায়ন মিত্র তৈরি করেন এই কালীমন্দির। মন্দিরে ছিল ১২ টি শিব মন্দির ও একটি বড় কালিমন্দির। শোনা যায় এই মন্দির দেখেই নাকি রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ জয়মিত্তিরের এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছিল। কিছু বছর আগে মন্দিরের জমির কিছু অংশ বিক্রি করে পরিবর্তে মন্দিরটি সারানোর চুক্তি করে মন্দির সম্পূর্ণ সারিয়ে দিয়েছেন মিত্তির পরিবার। মন্দিরের নতুন রূপ এক কথায় অসাধারন।
ব্রহ্মময়ী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৫৩ সাল মাঘী পূর্ণিমায় তৈরি হয়েছিল এই মন্দির৷ সেই রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় বিশেষ পূজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে৷ মা ব্রহ্মময়ী তিন বোনের তুলনায় উচ্চতায় খাটো, ঐতিহ্যে সমসাময়িক৷ কালী পূজোর দিন দেবীকে সাজানো হয় বিশেষ বসনে৷ নিষিদ্ধ পশুবলি৷ দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ, তবে অন্ন ভোগ নয়৷ বর্তমানে মন্দিরের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের উপরে।
দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৫৫ সালে নির্মিত হয় ১০০ ফুটের এই মন্দির৷ হুগলীর কামারপুর থেকে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এলেন পূজারী হয়ে। রামকুমারের পর তাঁর ভাই গদাধর দায়িত্ব নিলেন। কালে কালে গদাধর হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। কালী পুজো বাদেও অন্যান্য দিন দক্ষিণেশ্বরে দর্শনার্থীর সংখ্যা থাকে লক্ষ্যনীয়৷ কালী পুজোয় রাজবেশে শোভিত থাকেন দেবী৷ মন্দিরে পশুবলি নিষিদ্ধ।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
লোককথা অনুযায়ী একই কোষ্ঠীপাথর থেকে তৈরি হয়েছিল ভবতারিণী, কৃপাময়ী আর ব্রহ্মময়ীর বিগ্রহ। মূর্তির কারিগরও নাকি সেই একই মানুষ। কাটোয়ার দাঁইহাটের নবীন ভাস্কর। সর্বপ্রথম তৈরি হয় জয়মিত্তিরের কৃপাময়ীর মূর্তি। এরপর তৈরি হয় ব্রহ্মময়ী ও মা ভবতারিণীর বিগ্রহ। প্রসঙ্গত এখানে বড় ছোটর হিসাব করা হয় বিগ্রহের উচ্চতার বিচারে। সেই অনুযায়ী ভবতারিণীর মূর্তি সবথেকে বড়। তাই সে বড় বোন। মেজ হলেন মা কৃপাময়ী ও ছোট বোন ব্রহ্মময়ী। এই তিন দেবী মূর্তির নামকরণও করেন একই মানুষ। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব।
ভবতারিণী, কৃপাময়ী আর ব্রহ্মময়ী এঁরা থাকেন বরাহনগরে। তিন বোনের বাড়িও একদম পাশাপাশি। ভবতারিণী আর কৃপাময়ীর বাস নদীর পারে। আর ব্রহ্মময়ী থাকেন কৃপাময়ীর থেকে ঠিক দশ মিনিট পায়ে হাঁটাপথ দূরে। ভবতারিণী হলেন দক্ষিণেশ্বরের কালী, কৃপাময়ী হলেন বরাহনগরের জয় নারায়ন মিত্তিরের মন্দিরের কালী এবং ব্রহ্মময়ী হলেন কাশীপুরের প্রামানিক ঘাট রোডের কালী।
জয় মিত্তিরের কৃপাময়ী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৪৮ সালে বরাহনগরের জমিদার জয়নারায়ন মিত্র তৈরি করেন এই কালীমন্দির। মন্দিরে ছিল ১২ টি শিব মন্দির ও একটি বড় কালিমন্দির। শোনা যায় এই মন্দির দেখেই নাকি রানি রাসমণি দক্ষিণেশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ জয়মিত্তিরের এই মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছিল। কিছু বছর আগে মন্দিরের জমির কিছু অংশ বিক্রি করে পরিবর্তে মন্দিরটি সারানোর চুক্তি করে মন্দির সম্পূর্ণ সারিয়ে দিয়েছেন মিত্তির পরিবার। মন্দিরের নতুন রূপ এক কথায় অসাধারন।
ব্রহ্মময়ী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৫৩ সাল মাঘী পূর্ণিমায় তৈরি হয়েছিল এই মন্দির৷ সেই রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় বিশেষ পূজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে৷ মা ব্রহ্মময়ী তিন বোনের তুলনায় উচ্চতায় খাটো, ঐতিহ্যে সমসাময়িক৷ কালী পূজোর দিন দেবীকে সাজানো হয় বিশেষ বসনে৷ নিষিদ্ধ পশুবলি৷ দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ, তবে অন্ন ভোগ নয়৷ বর্তমানে মন্দিরের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের উপরে।
দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী কালী
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
১৮৫৫ সালে নির্মিত হয় ১০০ ফুটের এই মন্দির৷ হুগলীর কামারপুর থেকে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় এলেন পূজারী হয়ে। রামকুমারের পর তাঁর ভাই গদাধর দায়িত্ব নিলেন। কালে কালে গদাধর হলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। কালী পুজো বাদেও অন্যান্য দিন দক্ষিণেশ্বরে দর্শনার্থীর সংখ্যা থাকে লক্ষ্যনীয়৷ কালী পুজোয় রাজবেশে শোভিত থাকেন দেবী৷ মন্দিরে পশুবলি নিষিদ্ধ।
No comments:
Post a Comment