নামটি যে তাঁর দয়াময়ী.......................
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি থেকে কোনও ভিখারীকে বিমুখ হয়ে যেতে ক কেউ কখনও দেখেনি। একদিন রাত্রি প্রায় ৯টার সময় একজন ভিখারী এসে কাতরভাবে ভিক্ষা চাইলেন। কিন্তু উপস্থিত সাধুদের মধ্যে একজন তাঁকে রুঢ় কথা বলে তাড়িয়ে দেন। মা উপরে ছিলেন। তিনি এই ঘটনা জানতে পেরে নীচে লোক পাঠালেন, ভিখারীটিকে খুঁজে ফিরিয়ে আনার জন্য। তখন তাঁকে খুঁজে ফিরিয়ে আনা হলে শ্রীশ্রীমা স্বয়ং তাঁকে ভিক্ষা দিয়ে ভিখারীকেটি সন্তুষ্ট করলেন। ক্ষুধার্তকে অন্ন বা অন্য কিছু খাবার না দিয়ে মা কখনোই ফিরতে দিতেন না । তিনি যে সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণা, এমনই অপার্থিব তাঁর দয়া।
অপর এক ঘটনায় আমরা দেখতে পাই এক পাগল মাঝে মধ্যে মায়ের বাড়িতে আসত। এসে রাস্তায় চুপচাপ বসে থাকত, কখনও-বা আপনমনে বিড়বিড় করে নানাকথা বকে যেত। তাঁর নিত্য আসা-যাওয়ার সময় শ্রীশ্রীমায়ের জানা ছিল, সেইসময় মা লক্ষ্য করতেন, লোকটা আসল কি-না, আসলে যত্ন করে তাঁকে প্রসাদ খাওয়াতেন। যেদিন আসত না, মায়ের প্রাণ ব্যাকুল হয়ে উঠত, কেন সে আসল না, কেমন আছে, অনাহারে থাকল কি-না। পথের ভবঘুরে পাগলের তো আপনারজন বলতে কেউই নাই, কিন্তু জগজ্জননীর প্রাণে তাঁর জন্য দুর্ভাবনার অন্ত নাই।
একদিন তাঁকে বিশেষ কররে আসতে বলা হয়েছিল, কিন্তু পাগলের খেয়াল থাকে না, সে আসল না। দিন ফুরাল, রাত হয়ে গেল। মা তার জন্য কতবার ঘরবার যে করলেন; কেউ আসলেই প্রশ্ন করেন, কাছেই একটা পাগলকে দেখেছে কি-না। কিন্তু পাগলের সন্ধান দিয়ে কেউই মায়ের প্রাণ শান্ত করতে পারল না।
নিজের দুঃখদৈন্যই যে বোঝে না, পরের মায়ের প্রাণের ব্যাকুলতার সংবাদ সে কি করে জানবে? ক্রমে রাত্রি গভীর হল, সে আর আসল না। মা তাঁর জন্য কত ভাববেন, জনৈক সন্তানকে অনুনয়ের সুরে বললেন, - কাশীমিত্তিরের ঘাটের শ্মশানে একটা পাগল থাকে। তাঁকে এই পেসাদটুকু তুমি যদি একটু কষ্ট করে খাইয়ে আস বাবা, হয়তো বেচারি সারাদিন কিছুই খেতে পায়নি। পাগলের আকৃতিপ্রকৃতিও বুঝিয়ে দিলেন সন্তানটিকে। পাগলের প্রসাদপ্রাপ্তির সুসংবাদটি সন্তান এসে জানালে মায়ের সমস্তদিনের দুর্ভাবনার অন্ত হল। তিনি যে পরম দয়াময়ী, তাই তো তিনি আমাদের সেই চিরন্তন অভয়বাণী শুনিয়েছেন, "যার কেউ নেই, তার আমি আছি। আমি মা থাকতে ভয় কি বাবা!" তাই মা তাঁর প্রত্যেক আগত-অনাগত সন্তানের সাথে নিত্য বিরাজিতা। তাঁর আরেক নাম যে দয়াময়ী!!!
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি থেকে কোনও ভিখারীকে বিমুখ হয়ে যেতে ক কেউ কখনও দেখেনি। একদিন রাত্রি প্রায় ৯টার সময় একজন ভিখারী এসে কাতরভাবে ভিক্ষা চাইলেন। কিন্তু উপস্থিত সাধুদের মধ্যে একজন তাঁকে রুঢ় কথা বলে তাড়িয়ে দেন। মা উপরে ছিলেন। তিনি এই ঘটনা জানতে পেরে নীচে লোক পাঠালেন, ভিখারীটিকে খুঁজে ফিরিয়ে আনার জন্য। তখন তাঁকে খুঁজে ফিরিয়ে আনা হলে শ্রীশ্রীমা স্বয়ং তাঁকে ভিক্ষা দিয়ে ভিখারীকেটি সন্তুষ্ট করলেন। ক্ষুধার্তকে অন্ন বা অন্য কিছু খাবার না দিয়ে মা কখনোই ফিরতে দিতেন না । তিনি যে সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণা, এমনই অপার্থিব তাঁর দয়া।
অপর এক ঘটনায় আমরা দেখতে পাই এক পাগল মাঝে মধ্যে মায়ের বাড়িতে আসত। এসে রাস্তায় চুপচাপ বসে থাকত, কখনও-বা আপনমনে বিড়বিড় করে নানাকথা বকে যেত। তাঁর নিত্য আসা-যাওয়ার সময় শ্রীশ্রীমায়ের জানা ছিল, সেইসময় মা লক্ষ্য করতেন, লোকটা আসল কি-না, আসলে যত্ন করে তাঁকে প্রসাদ খাওয়াতেন। যেদিন আসত না, মায়ের প্রাণ ব্যাকুল হয়ে উঠত, কেন সে আসল না, কেমন আছে, অনাহারে থাকল কি-না। পথের ভবঘুরে পাগলের তো আপনারজন বলতে কেউই নাই, কিন্তু জগজ্জননীর প্রাণে তাঁর জন্য দুর্ভাবনার অন্ত নাই।
একদিন তাঁকে বিশেষ কররে আসতে বলা হয়েছিল, কিন্তু পাগলের খেয়াল থাকে না, সে আসল না। দিন ফুরাল, রাত হয়ে গেল। মা তার জন্য কতবার ঘরবার যে করলেন; কেউ আসলেই প্রশ্ন করেন, কাছেই একটা পাগলকে দেখেছে কি-না। কিন্তু পাগলের সন্ধান দিয়ে কেউই মায়ের প্রাণ শান্ত করতে পারল না।
নিজের দুঃখদৈন্যই যে বোঝে না, পরের মায়ের প্রাণের ব্যাকুলতার সংবাদ সে কি করে জানবে? ক্রমে রাত্রি গভীর হল, সে আর আসল না। মা তাঁর জন্য কত ভাববেন, জনৈক সন্তানকে অনুনয়ের সুরে বললেন, - কাশীমিত্তিরের ঘাটের শ্মশানে একটা পাগল থাকে। তাঁকে এই পেসাদটুকু তুমি যদি একটু কষ্ট করে খাইয়ে আস বাবা, হয়তো বেচারি সারাদিন কিছুই খেতে পায়নি। পাগলের আকৃতিপ্রকৃতিও বুঝিয়ে দিলেন সন্তানটিকে। পাগলের প্রসাদপ্রাপ্তির সুসংবাদটি সন্তান এসে জানালে মায়ের সমস্তদিনের দুর্ভাবনার অন্ত হল। তিনি যে পরম দয়াময়ী, তাই তো তিনি আমাদের সেই চিরন্তন অভয়বাণী শুনিয়েছেন, "যার কেউ নেই, তার আমি আছি। আমি মা থাকতে ভয় কি বাবা!" তাই মা তাঁর প্রত্যেক আগত-অনাগত সন্তানের সাথে নিত্য বিরাজিতা। তাঁর আরেক নাম যে দয়াময়ী!!!
No comments:
Post a Comment