শ্রীশ্রী ঠাকুর নিজের অনুভুতির নানা বর্ণনা দিয়েছেন - swami vivekananda

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, July 12, 2018

শ্রীশ্রী ঠাকুর নিজের অনুভুতির নানা বর্ণনা দিয়েছেন

**" যেমন ইন্ধন অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হলে পৃথক দাহ্য বস্তু বা তাহার নামরূপ কিছুই থাকে না , সবই অগ্নি হইয়া যায় , তেমনি মন আত্মসংস্থ হলে আগেকার ব্যাষ্টিভাব থাকে না , সবই আত্মাকারে আকারিত হইয়া যায় | তখন পৃথক পৃথক বস্তুর পূর্ব অনুভব ঘুচিয়া যায় | কারণ যদিও সাধক অবস্থাতে সকল বস্তুতে চৈতন্যের বোধ হয় না; তথাপি সিদ্ধ অবস্থায় সবেতে এক চৈতন্যেরই বিকাশ দেখা যায় |
সেই সম্বন্ধে শ্রীশ্রী ঠাকুর নিজের অনুভুতির নানা বর্ণনা দিয়েছেন :----
**" আমিও চক্ষু বুজে ধ্যান করতুম | তারপর ভাবলুম , এমন করলে ( চক্ষু বুজলে) ঈশ্বর
আছেন , আর এমন করলে ( চক্ষু খুললে) ঈশ্বর নাই ? চক্ষু খুলেও দেখছি , ঈশ্বর সর্বভুতে রয়েছেন | মানুষ , জীবজন্তু গাছপালা , চন্দ্রসূর্য- মধ্যে , জলে , স্থলে -- সর্বভুতে তিনি আছেন |
*" শজনে তুলসী এক বোধ হত | ভেদবুদ্ধি দূর করে দিলেন | বটতলায় ধ্যান করছি ,.... মা দেখালেন , --- এক বই দুই নাই | --- সচ্চিদানন্দই নানা রূপ ধরে রয়েছেন | তিনিই জীবজগ९ সমস্থই হয়েছেন | তিনি অন্ন হয়েছেন | "
**"" তবে লীলাই শেষ নয় | এই সব ভাবের পর বললুম , " মা , এসবে বিচ্ছেদ আছে , যার বিচ্ছেদ নাই , এমন অবস্থা করে দাও |"
তাই কতদিন অখণ্ড সচ্চিদানন্দ এই ভাবে রইলুম | ঠাকুরদের ছবি ঘর থেকে বার করে দিলুম |
*" তাঁকে সর্বভূতে দর্শন করতে লাগলুম | পূজা উঠে গেল !! এই বেলগাছ !! এই বেলপাতা তুলতে আসতুম | একদিন পাতা ছিঁড়তে গিয়ে আঁশ খানিকটা উঠে এল | দেখলাম , গাছ চৈতন্যময় !! মনে কষ্ট হল | দূর্বা তুলতে গিয়ে দেখি , আর সে রকম করে তুলতে পারি না | তখন রোখ করে তুলতে গেলুম | "
*" আমি লেবু কাটতে পারি না | সেদিন অনেক কষ্টে , " জয় কালী" বলে তাঁর সম্মুখে বলির মত করে তবে কাটতে পেরেছিলুম | একদিন ফুল তুলতে গিয়ে দেখিয়ে দিলে , --- গাছে ফুল ফুটে আছে , যেন সম্মুখে বিরাট---- পূজা হয়ে গেছে ---- বিরাটের মাথায় ফুলের তোড়া !! আর ফুল তোলা হল না | "
" দেখি কি --- যেন গাছপালা , মানুষ , গরু , ঘাস , জল সব ভিন্ন রকমের খোলগুলো ! বালিশের খোল যেমন হয় , দেখিস নি ?--- কোনটা খেরোর , কোনটা ছিটের , কোনটা বা অন্য কাপড়ের , কোনটা চারকোনা , কোনচা গোল , ---- সেই রকম | আর বালিশের খোলের ভিতর যেমন একই জিনিস ---- তুলো ভরা থাকে ---- সেই রকম ঐ মানুষ , গরু , ঘাস , জল , পাহাড় , পর্বত সবরকম খোল গুলোর ভেতর সেই এক অখণ্ড সচ্চিদানন্দ রয়েছে !! ঠিক ঠিক দেখতে পাই রে , মা যেন নানা রকমের চাদর মুড়ি দিয়ে নানারকম সেজে ভেতর থেকে উঁকি মারছেন |" আর একদিন গাড়ি করে মেছোবাজারের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখি কি ---- সেজেগুজে , খোঁপা বেঁধে , টিপ পরে বারাণ্ডায় দাঁড়িয়ে হঁকোয় তামাক খাচ্ছে , আর মোহিনী হয়ে লোকের মন ভুলুচ্ছে !! দেখে অবাক হয়ে বললুম ---" মা , তুই এখানে এইভাবে রয়েছিস? ----- বলে প্রণাম করলুম | "
শ্রীশ্রী ঠাকুর আবার বলিতেছেন:----
**" সেই চি९- শক্তি , সেই মহামায়া , চতুর্বিংশতি
তত্ব হয়ে রয়েছেন | আমি ধ্যান করছিলাম ; ধ্যান করতে করতে মন চলে গেল রসকের বাড়ি !! রসকে ম্যাথর | মনকে বললুম , " থাক শালা , ঐখানেই থাক |" মা দেখিয়ে দিলেন , ওর বাড়ির লোকজন সব বেড়াচ্ছে , খোল মাত্র , ভিতরে সেই এক কুলকুণ্ডলিনী , এক ষটচক্র !!"**
জয় শ্রীরামকৃষ্ণ ||
জয় শ্রীশ্রীমা ||

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages