মহা আরোগ্যদায়িনী মা...................
১৯৪২ সাল। প্রচন্ড অসুখে পড়লাম। দেশের বাড়ি গুড়াপে এলাম। বাড়িতে সবাই খুব চিন্তিত। গুড়াপে তখন একজন ভালো ডাক্তার এসেছিলেন, তিনিই দেখছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছুই হচ্ছিল না। রোগ ক্রমশ বাড়তে লাগলো। পরিজনেরা ভয় পেলো। বাঁচার আসা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে এলো আমার। তবে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি ছিল না। ক্রমে ভীষণ শ্বাস কষ্ট শুরু হলো। ডাক্তার বললেন, "অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে।" বাড়ি থেকে কে যেন গেল বর্ধমানে সিলিন্ডার আন্তে। সেই রাতটা এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। কষ্টটা যেন দ্বিগুন হয়ে গেছে, বুঝিবা হয়ত শেষ রাত। বাড়িতে কারোর চোখেই ঘুম নেই। হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়ল। মাকে অসুস্থ অবস্থায় সেবা করেছিলেন স্বয়ং মা-কালী। আর আমার এই দু:সময়ে মা কি আমায় বাঁচাবেন না? বারবার শুধু তাঁর কথাই ভাবছি, তাঁকেই ডাকছি। হাত -পা নাড়ানোর ক্ষমতাও নেই। শুধু কাঁদছি আর কাঁদছি। এমন সময় একটা ঘটনা ঘটলো। স্পষ্ট দেখলাম মায়ের মতো কে একজন আস্তে আস্তে আমার মাথার সামনে এসে দাঁড়ালেন। হ্যা , মা-ই তো!!!! সেই মুখ, সেই চোখ, সেই সরু লালপাড় শাড়ি। দুচোখে কোরুনা ঝরে পড়ছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ওহ্!!! সে কি সুখস্পর্শ!!! মনে হচ্ছিল আমি যেন সেরে উঠছি। আমি হাত-পা নাড়তে পারছি। হয়তো বা কথাও বলতে পারবো। মা আমাকে সাদা একটা গুলি অনেকটা ন্যাপথালিনের মতো খাইয়ে দিলেন। গুলিটা যতই গলা দিয়ে নামছে মনে হচ্ছে আমার সমস্ত রোগযন্ত্রণা নিয়ে সেই গুলি যেন শরীরে মিশে যাচ্ছে। তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কোনো খেয়াল নেই। ভোরবেলা ঘুম ভাঙলো। মনে হলো আমার শরীরে কোনো কষ্টই নেই , কোনো যন্ত্রনা নেই , কোনো রোগই নেই। আমি সুস্থ-সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজেই এতদিন পর বিছানা ছেড়ে উঠলাম। সবাইকে অবাক করে হাঁটলাম। সকালে ডাক্তার এলেন। খুব জোরের সাথেই বললাম "ডাক্তারবাবু আমি সেরে গেছি। আমি ভালো হয়ে গেছি।" ডাক্তার অবাক! বললেন ;" ভগবানই তোমাকে বাঁচিয়েছেন "অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত গেলো। আমি ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠলাম। সুস্থ হয়ে উঠলাম নয় ,আমি দ্বিতীয়বার জীবন পেলাম।
আমার জীবনদাত্রী -----মা !!!! কেমনে ভুলি তাঁর অপার করুণা। তিনি যে আমার মহা আরোগ্যদায়িনী মা।
- কেশব চন্দ্র নাগ (কে.সি.নাগ)
(শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাধন্য মন্ত্রশিষ্য ও প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ)
১৯৪২ সাল। প্রচন্ড অসুখে পড়লাম। দেশের বাড়ি গুড়াপে এলাম। বাড়িতে সবাই খুব চিন্তিত। গুড়াপে তখন একজন ভালো ডাক্তার এসেছিলেন, তিনিই দেখছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছুই হচ্ছিল না। রোগ ক্রমশ বাড়তে লাগলো। পরিজনেরা ভয় পেলো। বাঁচার আসা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে এলো আমার। তবে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি ছিল না। ক্রমে ভীষণ শ্বাস কষ্ট শুরু হলো। ডাক্তার বললেন, "অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে।" বাড়ি থেকে কে যেন গেল বর্ধমানে সিলিন্ডার আন্তে। সেই রাতটা এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে। কষ্টটা যেন দ্বিগুন হয়ে গেছে, বুঝিবা হয়ত শেষ রাত। বাড়িতে কারোর চোখেই ঘুম নেই। হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়ল। মাকে অসুস্থ অবস্থায় সেবা করেছিলেন স্বয়ং মা-কালী। আর আমার এই দু:সময়ে মা কি আমায় বাঁচাবেন না? বারবার শুধু তাঁর কথাই ভাবছি, তাঁকেই ডাকছি। হাত -পা নাড়ানোর ক্ষমতাও নেই। শুধু কাঁদছি আর কাঁদছি। এমন সময় একটা ঘটনা ঘটলো। স্পষ্ট দেখলাম মায়ের মতো কে একজন আস্তে আস্তে আমার মাথার সামনে এসে দাঁড়ালেন। হ্যা , মা-ই তো!!!! সেই মুখ, সেই চোখ, সেই সরু লালপাড় শাড়ি। দুচোখে কোরুনা ঝরে পড়ছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ওহ্!!! সে কি সুখস্পর্শ!!! মনে হচ্ছিল আমি যেন সেরে উঠছি। আমি হাত-পা নাড়তে পারছি। হয়তো বা কথাও বলতে পারবো। মা আমাকে সাদা একটা গুলি অনেকটা ন্যাপথালিনের মতো খাইয়ে দিলেন। গুলিটা যতই গলা দিয়ে নামছে মনে হচ্ছে আমার সমস্ত রোগযন্ত্রণা নিয়ে সেই গুলি যেন শরীরে মিশে যাচ্ছে। তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কোনো খেয়াল নেই। ভোরবেলা ঘুম ভাঙলো। মনে হলো আমার শরীরে কোনো কষ্টই নেই , কোনো যন্ত্রনা নেই , কোনো রোগই নেই। আমি সুস্থ-সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজেই এতদিন পর বিছানা ছেড়ে উঠলাম। সবাইকে অবাক করে হাঁটলাম। সকালে ডাক্তার এলেন। খুব জোরের সাথেই বললাম "ডাক্তারবাবু আমি সেরে গেছি। আমি ভালো হয়ে গেছি।" ডাক্তার অবাক! বললেন ;" ভগবানই তোমাকে বাঁচিয়েছেন "অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত গেলো। আমি ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠলাম। সুস্থ হয়ে উঠলাম নয় ,আমি দ্বিতীয়বার জীবন পেলাম।
আমার জীবনদাত্রী -----মা !!!! কেমনে ভুলি তাঁর অপার করুণা। তিনি যে আমার মহা আরোগ্যদায়িনী মা।
- কেশব চন্দ্র নাগ (কে.সি.নাগ)
(শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাধন্য মন্ত্রশিষ্য ও প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ)
No comments:
Post a Comment