: শ্রীশ্রী মাতৃ-স্মরণিকা : -
"ওঁ যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম।।"
।।জন্মজন্মান্তরের মা।।
'এক বাউলের দল এসেছিল'
- প্রব্রাজিকা অশেষপ্রাণা।
শরৎ (স্বামী সারদানন্দ)
মায়ের কথায়, "শরৎ আর যোগীন এ দুটি আমার অন্তরঙ্গ।" যোগানন্দই অন্তরঙ্গ সারদানন্দকে পরামর্শ দেন, "শরৎ তোকে একটা কথা বলে দিচ্ছি, তুই মাকে ধর, তিনি যা বলবেন, তাই ঠিক।"
শুধু বলেই ক্ষান্ত হলেন না, নিজে নিয়ে গেলেন মায়ের কাছে। এই সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়েই সারদানন্দের চেতনায় মায়ের স্থায়ী আবির্ভাব।
এর বহুপূর্বে তিনি মায়ের প্রথম দর্শন লাভ করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরে। ভাতের থালা হাতে কস্তাপেড়ে শাড়ি পরিহিতা মা সারদাকে দেখে যুবক শরচ্চন্দ্রের মনে হয়েছিল সাক্ষাৎ মা অন্নপূর্ণার প্রতিমা।
সংশয়াকুল ভক্তদের সারদানন্দ দৃঢ়কন্ঠে বলতেন, "মা আর ঠাকুর কি আলাদা?" প্রাণের এই সুরটি বেজে উঠল তাঁর রচিত প্রণামনন্ত্রে :
"যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম্।।"
সারদানন্দ নিজের জীবন সঙ্ঘসেবার পাশাপাশি জগজ্জননী সারদার সেবায় উৎসর্গ করে এক অসামান্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
মায়ের কাছে তিনি ছিলেন নির্ভরতার প্রতিমূর্তি। তাই মানুষী লীলা সংবরণকালে মা সারদানন্দের হাত ধরে বলে গেলেন, "শরৎ, এরা সব রইল, দেখো।"
মায়ের বাসুকি শরতের ওপর তাঁর সম্পূর্ণ নির্ভরতা থাকলেও ঘোমটার আড়ালটি ছিল অটুট। তাই অভিমান করে শরৎ মহারাজ বলেছিলেন, "বেটী আমাকে যেন মনে করে শ্বশুর।" শেষে কিন্তু মা ছেলের এই আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছিলেন।
কুড়ি বছর অসাধারণ সেবা করেছেন মায়ের সংসার-সমেত মাকে। তবুও স্বামী সারদানন্দকে লীলাপ্রসঙ্গের মতো শ্রীমায়ের জীবনী লিখতে অনুরোধ করলে তিনি নস্টালজিক হয়ে বলেন, "এতকাল রইলাম কাছে, বেড়াইলাম পাছে পাছে / চিনিতে না পেরে এখন হার মেনেছি।"
"জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্গুরুম্।
পাদপদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রণমামি মুহুর্মুহুঃ।।"
"ওঁ যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম।।"
।।জন্মজন্মান্তরের মা।।
'এক বাউলের দল এসেছিল'
- প্রব্রাজিকা অশেষপ্রাণা।
শরৎ (স্বামী সারদানন্দ)
মায়ের কথায়, "শরৎ আর যোগীন এ দুটি আমার অন্তরঙ্গ।" যোগানন্দই অন্তরঙ্গ সারদানন্দকে পরামর্শ দেন, "শরৎ তোকে একটা কথা বলে দিচ্ছি, তুই মাকে ধর, তিনি যা বলবেন, তাই ঠিক।"
শুধু বলেই ক্ষান্ত হলেন না, নিজে নিয়ে গেলেন মায়ের কাছে। এই সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়েই সারদানন্দের চেতনায় মায়ের স্থায়ী আবির্ভাব।
এর বহুপূর্বে তিনি মায়ের প্রথম দর্শন লাভ করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরে। ভাতের থালা হাতে কস্তাপেড়ে শাড়ি পরিহিতা মা সারদাকে দেখে যুবক শরচ্চন্দ্রের মনে হয়েছিল সাক্ষাৎ মা অন্নপূর্ণার প্রতিমা।
সংশয়াকুল ভক্তদের সারদানন্দ দৃঢ়কন্ঠে বলতেন, "মা আর ঠাকুর কি আলাদা?" প্রাণের এই সুরটি বেজে উঠল তাঁর রচিত প্রণামনন্ত্রে :
"যথাগ্নের্দাহিকা শক্তিঃ রামকৃষ্ণে স্থিতা হি যা।
সর্ববিদ্যাস্বরূপাং তাং সারদাং প্রণমাম্যহম্।।"
সারদানন্দ নিজের জীবন সঙ্ঘসেবার পাশাপাশি জগজ্জননী সারদার সেবায় উৎসর্গ করে এক অসামান্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
মায়ের কাছে তিনি ছিলেন নির্ভরতার প্রতিমূর্তি। তাই মানুষী লীলা সংবরণকালে মা সারদানন্দের হাত ধরে বলে গেলেন, "শরৎ, এরা সব রইল, দেখো।"
মায়ের বাসুকি শরতের ওপর তাঁর সম্পূর্ণ নির্ভরতা থাকলেও ঘোমটার আড়ালটি ছিল অটুট। তাই অভিমান করে শরৎ মহারাজ বলেছিলেন, "বেটী আমাকে যেন মনে করে শ্বশুর।" শেষে কিন্তু মা ছেলের এই আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছিলেন।
কুড়ি বছর অসাধারণ সেবা করেছেন মায়ের সংসার-সমেত মাকে। তবুও স্বামী সারদানন্দকে লীলাপ্রসঙ্গের মতো শ্রীমায়ের জীবনী লিখতে অনুরোধ করলে তিনি নস্টালজিক হয়ে বলেন, "এতকাল রইলাম কাছে, বেড়াইলাম পাছে পাছে / চিনিতে না পেরে এখন হার মেনেছি।"
"জননীং সারদাং দেবীং রামকৃষ্ণং জগদ্গুরুম্।
পাদপদ্মে তয়ো শ্রিত্বা প্রণমামি মুহুর্মুহুঃ।।"
No comments:
Post a Comment