কথায় বলে---- যে যা দেয়, সে তাই পায়। অপরকে মান দিলে মানুষ মান পায়, ভালবাসা দিলে ভালবাসা পায়, ঘৃণা করলে ঘৃণাই পায়। ইহাই নিয়ম। বাবুরাম মহারাজ জাতিবর্ণনির্বিশেষে সকল মানুষকে মর্যাদা দান করতেন। একবার দুর্গাপূজার সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দৌহিত্র ও প্রখ্যাত লেখক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি বেলুড় মঠে আসেন। বাবুরাম মহারাজ তাঁকে বলেন, "আপনাকে অভ্যর্থনা করতে পারি তেমন সম্বল----বাক্য, ভাব, ভাষা কোথায় পাব? রসটস তো নেই। আপনার কলমের ডগায় রস টস টস করে।" সুরেশচন্দ্র প্রত্যুত্তরে বলেন, "আপনার কথায় আপনি ঠকলেন। স্বীকার করলুম---আমার কলমের ডগায় রস আছে। কিন্তু আপনার রস--- চলায়, ফেরায়, কথায়, কাজে, দেহে, প্রাণে।" অপর একদিন স্বনামধন্য বৈজ্ঞানিক শ্রীজগদীশচন্দ্র বসু বেলুড় মঠে স্বামী প্রেমানন্দের আদর-যত্ন ও অকৃত্রিম প্রেমে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, " সমস্ত পৃথিবীটা ঘুরলুম, এমন জায়গা আর চোখে পড়ল না, যেখানে কেবল, 'এস, বস, খাও'।"
স্বামী প্রেমানন্দের অপূর্ব ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ একদিন শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীকে বলেন: "বাবুরাম মহাসিংহ। আমার কাছে কুঁঁচকে থাকে বলে ওকে সামান্য মানুষ মনে করিস নি। পরে ওকে দেখে বহুলোকের চৈতন্য হবে। ওর মত প্রেমিক ঈশ্বরবিশ্বাসী দুনিয়া ঘুরে দেখতে পাবি কিনা সন্দেহ।" আর ব্রাহ্মানন্দ একদিন প্রেমানন্দ-প্রসঙ্গে কমলেশ্বরানন্দকে বলেছিলেন: "ওরে, ওঁরা যা বলেন, শ্রদ্ধা করে তার দুই একটি যদি পালন করতে পারিস তো জীবন ধন্য হয়ে যাবে দেখবি। ওঁরা কি সামান্য মানুষ রে--- যেদিকে তাকান সেই দিকটা পর্যন্ত পবিত্র হয়ে যায়।"
[স্বামী প্রেমানন্দের জীবন ও স্মৃতিকথা
স্বামী চেতনানন্দের লেখা ভূমিকার পৃষ্ঠা-খ]
স্বামী প্রেমানন্দের অপূর্ব ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ একদিন শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীকে বলেন: "বাবুরাম মহাসিংহ। আমার কাছে কুঁঁচকে থাকে বলে ওকে সামান্য মানুষ মনে করিস নি। পরে ওকে দেখে বহুলোকের চৈতন্য হবে। ওর মত প্রেমিক ঈশ্বরবিশ্বাসী দুনিয়া ঘুরে দেখতে পাবি কিনা সন্দেহ।" আর ব্রাহ্মানন্দ একদিন প্রেমানন্দ-প্রসঙ্গে কমলেশ্বরানন্দকে বলেছিলেন: "ওরে, ওঁরা যা বলেন, শ্রদ্ধা করে তার দুই একটি যদি পালন করতে পারিস তো জীবন ধন্য হয়ে যাবে দেখবি। ওঁরা কি সামান্য মানুষ রে--- যেদিকে তাকান সেই দিকটা পর্যন্ত পবিত্র হয়ে যায়।"
[স্বামী প্রেমানন্দের জীবন ও স্মৃতিকথা
স্বামী চেতনানন্দের লেখা ভূমিকার পৃষ্ঠা-খ]
No comments:
Post a Comment